লিডিং ইউনিভার্সিটি গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্বরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ সকাল ১০:৩০টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক বেদনায় দিন উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক নীল নকশার মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করেছিল দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অনেক সূর্য-সন্তানদের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের অবদান অনস্বিকার্য। বিশ্বব্যাপী জনমত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল স্বরণীয়। বাঙ্গালী জাতি যাতে মাথা উচু করে না দাড়াতে পারে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে সেই লক্ষ্যে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটায় তারা। কিন্তু তাদের এ উদ্দেশ্য সফল হয়নাই। তিনি আজকের এই আলোচনা সভার বিষয়বস্তুসহ এধরনের জাতীয় বিষয়গুলোকে সংকলণবদ্ধ করে রাখা প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, এগুলো একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গৃহীত হতে পারে। সেইসাথে তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্বলিত বই পড়ারও পরামর্শ দেন।
আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক। মুখ্য-আলোচক হিসেবে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও আজকের বাংলাদেশ এর উপর আলোকপাত করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমেদ দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক সাহিদুল আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহবাহক এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ওয়াহিদুজ্জামনা খান। বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে কবিতা পাঠ করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তয় বর্ষের ছাত্র ফাহমিদ চৌধুরী এবং ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী মুক্তা।