শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সিলেটর প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবার। গত ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ মঙ্গলবার সকাল ৯:০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরমা টাওয়ারস্থ ক্যাম্পাস থেকে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি র্যালি শুরু হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকেও সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো: লুৎফর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় হলরুমে ”শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মুমিনূল হক এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সোস্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. আলী আক্কাস, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্ঠা প্রফেসর মো: আবুল কালাম চৌধুরী, আর্কিটেকচার বিভাগের উপদেষ্ঠা চৌধুরী মুশতাক আহমেদ, ইংরেজী বিভগের অধ্যাপক ড. গাজী আবদুল্লাহেল বাকী, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, শিক্ষার্থী মোহিনী দে এবং ফাইয়ুত জামান। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করের ইংরেজী বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মানফাত জাবিন হক।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তৎকালিন শাসকগোষ্ঠী মাতৃভাষাকে কেরে নিয়ে একটি জাতিকে স্তিমিত করার যে প্রয়াস করেছিল বাংলার কিছু তাজা প্রাণের মিনিময়ে তা প্রতিহত হয়েছে এবং আমরাও বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে ধরে রাখতে পেরেছি, ভাষার অধিকার রক্ষা হয়েছে। এমন নজির পৃথিবীতে নেই। তাদের এই আত্বত্যাগের জন্যই একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে, বিশ্বপরিক্রমায় বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞান থাকতে হবে, কিন্তু মাতৃভাষা একটিই। ভাষা শহীদদের আত্বত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
উক্ত র্যালী ও আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন।