‘বুদ্ধিজীবীদের হত্যাযজ্ঞ সফল হয়নাই, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে আজ আমরা উন্নতির পথে’
বুদ্ধিজীবী দিবসে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. কাজী আজিজুল মাওলা।
সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ
বুদ্ধিজীবীদের। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২২)
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালোব্যাচ ধারণ এবং সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদমিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে শহিদমিনারের সামনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ অধ্যায় এবং বাঙালি জাতির জীবনে এক বেদনাময় দিন। ঐদিন এক নীল নকশার মাধ্যম জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করেছিল দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং দার্শনিকসহ অনেক সূর্যসন্তানদের, কিন্তু তাদের এই হত্যাযজ্ঞ সফল হয়নাই। বাংলাদেশ আজ ঠিকই মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে আজ আমরা উন্নতির পথে। তারই বাস্তবতা সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার আলো ছরিয়ে দেওয়া দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর প্রতিষ্ঠিত সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। তিনি আরও বলেন, শুধু আজকের দিনেই তাদের স্মরণ করলে হবেনা, বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধারণ করে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তাহলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
আলোচনায় লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদর অবদান অনস্বিকার্য। বিশ্বব্যাপী জনমত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযাগ স্থাপনে বুদ্ধিজীবীদর ভূমিকা ছিল স্বরণীয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এদিনে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধনে মেতে উঠেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এই বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী। এই ঘটনায় বিশ্ববিবেক স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। জাতির সাথে শোকাবহ এ দিনটি আমরাও আজ গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ফজলে এলাহি মামুন। এসময় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিন হোসেন, কলা ও আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, প্রক্টর রানা এম. লুৎফুর রহমান পীর, চীফ লাইব্রেরিয়ান ড. মো. রাশেদুল আজিম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।