শহিদ বুদ্ধিজীবীদর স্মরণে লিডিং ইউনিভার্সিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলাচনা

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২১)
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালোব‍্যাচ ধারণ, সকাল ১১টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, টেজারার বনমালী ভৌমিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস‍্য সৈয়দ আব্দুল হাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।
সকাল  সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগীব আলী ভবনের গ‍্যালারি ১ এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে এক বেদনাময় দিন উল্লেখ করে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ড. রাগীব আলী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযাদ্ধাদর প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক নীল নকশার মাধ্যম জাতিক মেধাশূন্য করতে হত্যা করছিল দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিকসহ অনেক সূর্যসন্তানদের।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদর অবদান অনস্বিকার্য। বিশ্বব্যাপী জনমত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযাগ স্থাপনে বুদ্ধিজীবীদর ভূমিকা ছিল স্বরণীয়। বাঙ্গালী জাতি যাতে মাথা উচু করে না দাঁড়াতে পারে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে সেই লক্ষ্যে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটায় তারা। কিন্তু তাদের এ উদ্দশ্য সফল হয়নাই।
সভাপতির বক্তব‍্যে ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন আজ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এদিনে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধনে মেতে উঠেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এই বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী। এই ঘটনায় বিশ্ববিবেক স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। জাতির সাথে শোকাবহ এ দিনটি আমরাও গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ।
আলাচনায় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, ব‍্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ। তারা শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্বলিত বই পড়ারও পরামর্শ দেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো শাহ আলম।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ‍্যাপক মানফাত জাবিন হক ও প্রভাষক জেরিন তাসনীম এলাহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের উপর একটি লেখা পাঠ করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ‍্যাপক রুমপা শারমিন এবং কবিতা পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার। অনুষ্ঠানর শুরুতে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ‍্যাপক সাহেদুল আলম খান। বুদ্ধিজীবীদর আত্মার  মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান  মো ফজল এলাহি মামুন।
আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, চীফ লাইব্রেরিয়ান ড. মো. রাশেদুল আজিম, বিভিন্ন  বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.