সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলন-২০২০ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (০৮ ফেব্রয়ারী ২০২০) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এলইউমুন২০২০ সম্মেলনের সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী এবং ট্র্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে এলইউমুনার ছায়ামহাসচিব (২০১৯-২০) মো. আশরাফুল ইসলাম জকির নেতৃত্বে এবং উপদেষ্টা তাহরিমা চৌধুরী জান্নাত ও সহ-উপদেষ্টা আশ্রাফ উদ্দীন এর সার্বিক তত্ত¡াবধানে সাতটি কমিটি অংশ গ্রহণ করে যারা বিভিন্ন দেশের ছায়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। কমিটিগুলো হল ইউনাইটেড ন্যাশনস হিউম্যান রাইট কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি), ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি), ইউনাইটেড ন্যাশনস সিকিউরিটি কাউন্সিল (ইউএনএসসি), স্পেশালাইজড কমিটি ফর বাংলাদেশ এ্যাপায়ার্স (এসসিবিএ), ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজ (আইসিজে), ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল (ইকোসক) এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস নিউজ এজেন্সি (ইউএনএনএ) এর ছায়া কার্যক্রম চলে।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহন করছেন সিলেটের ১৫টির বেশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধি, আইনের শাসন, রাজনৈতিক স্বিতিশীলতা, এবং যুবসমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, অর্থনীতি ও বানিজ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন, উপসাগরীয় অঞ্চলে বিরোধ, গণহত্যা আইনের প্রয়োগ, ইয়েমেনের যুদ্ধ সংকট, মধ্য আয়ের দেশসমূহ থেকে দারিদ্রতা দূরীকরণের সমাধান বিষয় নিয়ে ৭টি কমিটির মাধ্যমে ভারত ও নেপাল থেকে আগত ২২ জন বিচারকের সামনে আলোচনা করেন ৩০০ জন প্রতিনিধি।
‘টেকসই অর্থনীতি ও পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুবকদের অংশ্রহণ’ বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনায় বের হওয়া সমাধানগুলোর মধ্যে কিছু নির্বাচিত সমাধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে যা একটি সুন্দর এবং অংশগ্রহণমূলক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে।
একটি মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য এলইউমুনা এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ডেলিগেট্স এবং অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, এ সম্মেলন থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মজীবনে সফলতা বয়ে আনবে। তিনি অংশগ্রহণকারী দেশ ও দেশের বাইরের প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে নিরাপদে নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন তা কামনা করেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদেরকে অভিবাদন জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কোন কমিটি বেস্ট এ্যায়ার্ড বা স্পেশাল এ্যায়ার্ড পেয়েছেন তা বিষয় নয়, এ থেকে অর্জিত কমিউনিকেশন স্কীলস এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার যে মনোভাব সৃষ্টি হয় তা তরুণ শিক্ষার্থীকে মানবিক গুনাবলীর অধিকারী করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তৈরী হবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন কলাকৌশল যা সুন্দর এবং অর্থনৈতিকভাবে একটি সম্মৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তোলে ধরতে পারবে।
সম্মেলনের সমাপণী অনুষ্ঠানে এলইউমুনার সদস্যসহ বিভিন্ন কমিটির প্রতিনিধিসহ স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্য উপস্থিত ছিলেন।