বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনায় এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে
. . . দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৪ অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে উদযাপন করেছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ২০২৪) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহিদমিনার ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই, ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি পরবর্তী সকাল সাড়ে ১১টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির রাগীব আলী ভবনের গ্যালারী-০১ এ বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিচারণ ও শহিদদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বরণ করে তিনি বলেন, আমরা আজ স্বাধীন পতাকা পেয়েছি, দেশে এখন আর্থসামাজিক, শিক্ষা ও যোগাযোগসহ বিভিন্নক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে।
লিডিং ইউনিভার্সিটি এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সুন্দর দেশ, সুশিক্ষিত সমাজ ও উন্নত জাতি গঠন করতে হলে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সবাইকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করে সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও স্বাধীনতাল চেতনা রয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সবার দায়িত্ব অনেক, আমাদেরকে এ দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই স্বাধীনতার ইতিহাসে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশেরস্বাধীনতায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি জনগণের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক বলেন, স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা স্বাধীনভাবে অনুষ্ঠান করতে পারছি এবং আমাদের মেয়েরা স্বাধীনভাবে এতে অংশগ্রহণ করতে পারছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে সেইসাথে স্বাধীনতার ইতিহাস ও মূল্যবোধকে নিজেদের মধ্যে ধারন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাব সদস্যদের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়নের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী মো. জাহিদ হাসান এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক উম্মে কুলসুম মিলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডর সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান,
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, সকল বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইংরেজি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আতিয়া এবং ডিবেটিং ক্লাবের সদস্য ইরতিজা রহমান দোহা। এতে স্বাধীনতার উপর কবিতা আবৃত্তি করেন কালচারাল ক্লাবের সদস্য তাইয়িবা তারান্নুন সিনথিয়া এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাব সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, লাইব্রেরিয়ান মো. আব্দুল হাই ছামেনী, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।