রক্তস্নাত বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন করেছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২২) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতিক পায়ড়া উড়িয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদমিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-১ এ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সকলকে বিজয়ের শুভেচ্ছা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, আজ আমরা জাতীয় পতাকা পেয়েছি, আমরা স্বাধীন, তাই সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সবাই মিলে দেশকে উন্নত করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসাথে শিল্পকারখানা গড়ে তোলতে হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনতে হবে।সঠিক নেতৃত্বের প্রেরণা দিতে হবে। তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সার্থক হবে।
মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, আমরা সত্যিই ভাগ্যবান আজ আমরা স্বাধীন। তিনি বলেন, কষ্টে অর্জিত এ স্বাধীনতার চেতনা ও মর্যাদাকে রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। সেইসাথে স্বাধীনতার ভিত্তিকে মজবুত রাখতে হবে এবং চলমান উন্নয়নের অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সেকটরে উন্নয়ন আনতে হবে। পরিশেষে তিনি বিজয় অর্জনে শহিদ বীরদের স্মরণ করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আব্দুল হাই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা, স্বাধীনতা এবং বর্তমান উন্নয়নের দীর্ঘ পরিক্রমার চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিসেস রুমপা শারমিন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কবিতা আবৃত্তি করেন শিক্ষার্থী চৈতী চৌধুরী এবং গান পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী সৈকত, বিবেক ও তাদের দল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা মিসেস শাম্মী আক্তার।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমাদ, প্রক্টর রানা এম. লুৎফুর রহমান পীর,
চীফ লাইব্রেরিয়ান ড. মো. রাশেদুল আজিম, লাইব্রেরিয়ান আব্দুল হাই সামিনী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফুর রহমান, ডেপুটি ডিরেক্টর (অর্থ ও হিসাব) রজত কান্তি চক্রবর্তী, সহকারি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।