সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে স্থিতিস্থাপক জলবায়ু, পানি, জ্বালানি এবং ধান উৎপাদন ব্যবস্থা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল ১০টায় অনলাইনে লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে “Towards a Climate-Resilient, Water-efficient, Fuel-efficient and Decarbonized Rice Production System for Bangladesh”” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং সন্মানিত অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের award-winning ‘John R Kiely Endowed Professor’, ড. ফয়সাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. জহির বিন আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দা জিহান ফারজানা।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কৃষিতে গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে ড. রাগীব আলী বলেন, আমাদেরকে কৃষি সম্পদ রক্ষা করতে হবে, আর সেজন্য কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। তিনি বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি কৃষিকাজ এবং পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন কঠিন করে তুলছে। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলায়, বিশ্বব্যাপী, গবেষকরা কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং অভিযোজিত, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই চাষের জন্য সমাধান তৈরি করছেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, সুস্বাস্থ্য এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা কৃষিখাতের সাথে সম্পৃক্ত। তাই কৃষকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনসহ তাদেরকে সময়োপযোগি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কৃষিতে উন্নতি আনতে হবে। আজকের এ সেমিনারে প্রধান আলোচক কীভাবে অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন যায়গায় একটি ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায় তার উপর আলোকপাত করেন। আমরা এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে স্থিতিস্থাপক জলবায়ু, সুষ্ঠু পানি ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডিকার্বোনাইজড ধান উৎপাদনসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে পারব।
বেশি পানি ব্যবহার করলে ফসলের ক্ষতি হয় উল্লেখ করে কীনোট স্পীকার ড. ফয়সাল হোসেন বলেন, কৃষকদেরকে গ্রাউন্ড ওয়াটারের ব্যবহার জানতে হবে। আবহওয়ার পূর্বাভাস জেনে কখন কি পরিমাণ পানির প্রয়োজন তা ঠিক করে সেচের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি সেটেলাইটের বেইসড ইরিগেশনসহ কৃষিতে অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক -শিক্ষার্থী, দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ আক্তারুজ্জামান অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন।