লিডিং ইউনিভার্সিটিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পাঠদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য শিক্ষকদেরকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (০৪ অক্টোবর ২০২০) সন্ধ্যা ৭টায় “টিচার্স রিকগনিশন প্রোগ্রাম ডিউরিং কোভিড-১৯” শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বোস উপস্থিত ছিলেন। লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম. রকিব উদ্দিনের সূচনাবক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের ১২জন শিক্ষকসহ মোট ১৪জনকে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। শিক্ষকদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদা আক্তার এবং প্রভাষক জয়নব সরকার, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম, আইন বিভাগের প্রভাষক মো. রেজাউল করিম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কম্পিউটার সয়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ জাবের হোসেন এবং আদিল আহমেদ চৌধুরী, ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর আহমেদ লিমন, স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক শাহ মো. হাসিন সাদ ও পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: মো. শিবলী খানকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। শিক্ষকদেরকে অনুপ্রেরণার মাধ্যমে বৈশ্বিক এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীনকেও স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুভাশীষ বোস বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটি নভেল-১৯ এর এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা আন্তর্জাতিজ মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার মতো একটি উদ্যোগ। সেই সাথে যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম এগিয়ে চলছে তাদেরতে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আজকের এ অনুষ্ঠান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান খুবই প্রেরণা যোগায়। প্রণোদনা এবং পুরস্কার প্রাতিষ্ঠানিক কর্মদক্ষতা আনে এবং প্রতিষ্ঠানকে তার উন্নতির ও সম্মানের সর্বোচ্চ জায়গায় অধিষ্ঠিত করে। এ মূল্যায়ন শিক্ষকদের জন্য তাঁদের স্বকার্যের বাস্তবায়ন নয় বরং আত্মার পরিতুষ্টি। এ মূল্যায়ন তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনেও সহায়ক হবে এবং এটা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে ড. রাগীব আলী বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির অগ্রগতিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং অংশগ্রহণ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের এ অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
উপাচার্য বনমালী ভৌমিক বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটি গত ২৪ মার্চ থেকে আনুষ্ঠিকভাবে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলেও তার প্রস্তুতি শুরু হয় ১৮ মার্চ থেকেই। তিনি বলেন, বৈশ্বিক এ পরিস্থিতির শুরু থেকেই লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য পজিটিভ মনোভাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যাবান সময় যাতে নষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে নিরলস কাজ করেছেন। তিনি সেজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং প্রধান অতিথিকে এ অনুষ্ঠান উপস্থিত থেকে শিক্ষকদেরকে অনুপ্রেরণা প্রদান করার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও আধনিক ভাষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো শাহ আলম, পিএসসি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, ইনস্টিটিউট অব কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক মো. রেজাউল করিম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।