ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা করেছে সিলেটে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি।
এ উপলক্ষে সোমবার (৭ মার্চ ২০২২) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগীব আলী ভবন প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মূলবক্তা হিসেবে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমাদ।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণা থেকেই আজ আমরা স্বাধীন। তাই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আমাদের জন্য স্মরণীয় এবং বরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণই প্রেরণা যুগিয়েছে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করার এবং উন্নতির পথে এগিয়ে নেয়ার। তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দেশ প্রেম থাকতে হবে, মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে, সেই লক্ষ্যেই লিডিং ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধরে রাখতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূর্ণ হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় মুক্তির লক্ষ্যে উল্লেখ করে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, এই ঐতিহাসিক ভাষণটি ওই সময়ে সমগ্র বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছিল, শক্তি যুগিয়েছিল পাক হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার। তিনি আরও বলেন, দেশ এবং জাতির উন্নয়নের দিকনির্দেশনা ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে। ঐতিহাসিক এ ভাষণটি ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভ করেছে, এটা আমাদের গর্বের বিষয়।ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আগামী নেতৃত্ব ও বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে সঠিকভাবে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার অনুপ্রেরণা দিবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম। কবি নির্মলেন্দু গুণের স্বাধীনতার কবিতা পাঠ করেন আইন বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী চাহিদা আক্তার প্রীতি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো শাহ আলম। এতে ভোট অব থ্যাংক্স জ্ঞাপন করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এবং অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির কনভেনার প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, চীফ লাইব্রেরিয়ান ড. মো. রাশেদুল আজিম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।