জাতীয় শোক দিবসে লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে লিডিং ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার (১৫ আগস্ট ২০২০) সকাল ১০:৪৫টায় ক‍্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম‍্যুরালে শ্রদ্ধার্ঘ‍্য নিবেদন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড.  সৈয়দ রাগীব আলী, উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এসময় রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে ৫২টি ভাষায় “মা” শব্দ খচিত শহীদ মিনারের পাশে বৃক্ষরোপণ এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলমান দশ হাজার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব‍্যাহত রাখা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট দেশীয় নিমের চারা বিতরণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য বনমালী ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর এই উন্নতির রূপকার হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে তার আদর্শকে ধারণ করে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতে এবং দেশের উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে একদল বিপথগামী সামরিক অফিসারদের হাতে অত্যন্ত নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মহান নেতা, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারকে। তিনি শ্রদ্ধাভরে সেই মহান নেতা এবং তার পরিবারকে স্মরণ করেন ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ অন্যান্য বইগুলিতে সঠিক রাজনীতির মাধ্যমে কিভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায় তার দিকনির্দেশনা রয়েছে। আজকের এই তরুণ শিক্ষার্থীদের এ সম্পর্কে জানতে হবে।
বাঙালির জাতীয় জীবনে আগস্ট এক গভীর শোকের মাস উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) বনমালী ভৌমিক বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে উঠা বঙ্গবন্ধু ছাত্র জীবন থেকেই বঞ্চিত মানুষের জন্য কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, মানবিক এবং আদর্শগত যে গুণাবলী রয়েছে তা বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। কিন্তু আমাদের মধ্যে রয়েছেন তারই উত্তরাধিকারিণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুদক্ষ দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সম্ভাবনাময় আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে। মহাকাশে আজ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট দেখা যাচ্ছে। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে উন্নীত হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন,  বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২১ এর মাধ্যমে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে সকল পর্যায়ে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান।
আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী-সাহিত্য, শিল্প, সৃজনশীলতা এবং ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ বিষয়ে আরও বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক কাজী মো. জাহিদ হাসান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এডমিশন) মো. কাওসার হাওলাদারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট‍্যুরিজম এন্ড হসপিটিলিটি ম‍্যানেজমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামি স্টাডিজ  বিভাগের প্রভাষক মো. জিয়াউর রহমান। এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 আলোচনা ও দোয়া মাহফিল পরবর্তী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত পুকুরে  এবং পরে উম্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং  বনমালী ভৌমিকসহ অন‍্যান‍্য অতিথিবৃন্দ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.