লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের বিদায়

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরীর বিদায় এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রবিবার (০১ মার্চ ২০২০) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বিদায়ী উপাচার্যের জন্য আয়োজিত দোয়া মাহফিলের পর লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে শ্রীয্ক্তু বনমালী ভৌমিককে দায়িত্ব অর্পণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রæয়ারি ২০২০ প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরীর বিদায় উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দানবীর রাগীব আলী ভবনের গ্যালারী-০১ এ বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মিসেস সাদিকা জান্নাত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিদায়ী উপাচার্যের সহধর্মীনি মিসেস কানিজ ফাতেমা এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন প্রফেসর নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এম. রকিব উদ্দিন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব মেজর (অব.) শায়েকুল হক চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমেদ দীন, রেজিস্ট্রার মেজর (অব.) মো. শাহ আলম, পিএসসি, প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্র্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিদায়ী অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী উপাচার্য হিসাবে দীর্ঘ চার বছর দায়িত্বকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম নিয়ে একটি বিদায় সংবর্ধনাস্মারক ‘অনুপ্রাণনা’ এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ লিডিং ইউনিভার্সিটিকে সামনে এগিয়ে নিতে তাঁর সফল কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং আগামীতে তাঁর পরিবারের জন্য শুভ কামনা জ্ঞাপন করেন।

বিদায়ী উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শিক্ষা উন্নয়নের জন্য বিশ্বের আইকন দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। তাঁর মত একজন গুণী ও জ্ঞানী ব্যক্তির কারণে দেশের শিক্ষা সেক্টর পাল্টে গিয়েছে। শুধু শিক্ষা নয় অন্যান্য সকল সেক্টরে সমান অবদান রেখেছেন সিলেটের এই কৃতি সন্তান। তার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের মডেল। তার দিক নির্দেশনায় লিডিং ইউনিভার্সিটি আজ বহুদূর এগিয়ে গিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন ও ভিশন হচ্ছে যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিক তৈরি করা। সেই লক্ষ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নে যুগোপযোগী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লিডিং ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রসার ও গবেষনায় অবদান রেখে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে তাকে সহযোগিতা করার জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং লিডিং ইউনিভার্সিটি আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আজকের এ আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.