মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লিডিং ইউনিভার্সিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দেশ উন্নয়নে দেশ প্রেম থাকতে হবে
. .. . . ড. রাগীব আলী

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবার। ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ বুধবার সকাল ১০:০০টায় রাগীব নগরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে ট্রাস্টি বোর্ডে চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর নেতৃত্বে একটি র‌্যালী শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, রাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মিসেস সাদিকা জান্নাত চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের গ্যালারী-১ এ ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরত্ব তাৎপর্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, তাদের রক্ত বৃথা যায় নাই এবং যাবে না। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যেতে হলে দেশ প্রেম থাকতে হবে। বাংলা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বিকৃত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার চর্চা হচ্ছে, রাস্থা, মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরন বাংলায় করা হচ্ছে, এটা আমাদের গৌরবের বিষয়। আর তা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও দেশকে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই। তবে বাংলাদেশের আদালত, অফিস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার ব্যবহার রাড়াতে হবে। রাগীব নগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কেম্পাসে প্রথম বারের মত একটি জাতীয় দিবস পালন করতে পেরে তিনি বলেন, আজ আমি খুব খুশি। মনে হচ্ছে তরুন শিক্ষার্থীদের পদচারনায় এ অঞ্চল আজ শিক্ষার স্পন্দন পাচ্ছে। তিনি প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ এবং বিশ্বে আজকের এই শিক্ষার্থীরাই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটি এবং রাগীব নগরের সুনাম বয়ে আনবে।

সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মাতৃভাষা রক্ষার জন্য ভাষা আন্দোলন থেকেই বাংলার স্বাধীনতার ডাক আসে। অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে, বিশ্বপরিক্রমায় বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞান থাকতে হবে, কিন্তু মাতৃভাষা একটিই। লিডিং ইউনিভার্সিটির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চা ও ভাষা সংরক্ষিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভাষা শহীদদের আত্বত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি তাদের আতœার মাগফেরাত কামনা করেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জাহিদ হাসানের উপস্থ্াপনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস. এম. আলী আক্কাস, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল আহসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার আবুল আবরার মাসরুর আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক আনোয়ার আহমদ আরিফ এবং উক্ত বিভাগরের শিক্ষার্থী রাজন রায় ও ফাহমিদ।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.